Bullets chase a poor fellow; bread eludes his grasp.
Even in freedom helpless, hapless he
Sheep like must submit to one who kills.
Butcher alone has changed; the cut is as it used to be.
(From Rubaiyat –e-Arif, Trans. from Kashmiri by P. N. Pushp)
দু হাজার কুড়ি সালের ভারতবর্ষে মুসলমান লেখক!তাও আবার বাঙালি মুসলমান! ভাবতে পারছেন কোথায় দাঁড়িয়ে আপনি? দাদা, আপনার গোঁড়ায় গলদ! শুরেতেই নিজকে ভেবে নিলেন অমুক অমুক। কেন ? লেখকের কাজ মানুষকে সত্যের পথ, আলোর পথ দেখান। সেখানে আবার জাত পাত! ছ্যা ছ্যা!আপনার চিন্তাধারার সংকীর্ণতা আপনার জনপ্রিয় লেখক হওয়ার পথে বড় অন্তরায়। হিন্দু- মুসলমানের খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজেকে বৃহত্তর জগতের শাশ্বত চিন্তাধারার সাথে মেলান। মনের জড়তা কাটিয়ে মনকে করুন উদার আকাশ। দেখবেন আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। রাতারাতি সেলিব্রিটি!
বিশ্বাস করুন আপনার মতো সাদা মনের আমিও ছিলাম। কিন্তু ঘটনার পর ঘটনা ও তার ধারাবাহিক একমুখী বিস্তার সেই সাদাতে কাদা ছিটিয়েছে।এবং আপনিও জানেন সমস্ত ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পনামাফিক। ক্ষমতার অপব্যবহার চরম সীমা অতিক্রান্ত। কথায় বলে না ‘আ্যবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস আ্যবসলুউটলি’।ব্যাপারটি খানিকটা ঐ রকম। কেউ ভাই, বোন, ঘর হারচ্ছে। কেউ কাজ। কেউ জীবন। সংখ্যাগুরুরা চেপে যাচ্ছে।তাদের খুব বেশি এসে যায় না। তবুও কেউ কেউ ওপর ওপর হা হুতাশ করে সংখ্যালঘুর ঘায়ে সাময়িক মলমের প্রলেপ দিচ্ছে। কেউ আবার প্রকাশ্যে বুক চিতিয়ে বলছে বাঁকা ইতিহাস সোজা করা হচ্ছে। অনেক আগেই দরকার ছিল। যাইহোক দেরিতে হলেও সুফল মিলছে।একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বেশ প্যাঁচে ফেলা গেছে। তা দেখে অনেকেই মুচকি মুচকি হাসছেন। দেশ এগুচ্ছে একটি সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলে—কখন দাঙ্গা লাগিয়ে, কখন পুলিশের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতাকে কাজে লাগিয়ে, কখন সি এ এ বা এন আর সি-এর মত ভয়াবহ বিল এনে।সবকিছুর মূলে টার্গেট ঐ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। এর সাথে আছে লাগাতর মুসলমান সম্রদায় বিরোধী স্লোগান ও প্রচার। লাখ লাখ ভার্চুয়াল সেনা মোতায়েন করা হয়েছে যারা অনলাইনে মুখিয়ে আছে আপনাকে হেনস্থা, গালিগালাজ করার জন্য।বেশিরভাগ লিবারেল বুদ্ধিজীবী হয় গর্তে ঢুকেছে না হয় নিষ্ক্রিয় হয়ে সংসারের কাজে মন দিয়েছে।চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।যাইহোক এমত প্রায় নির্বান্ধব অবস্থায় তবুও আমরা লিখে চলেছি। এ খুব কঠিন কাজ। সহজ হবে যদি আপনি সুরে সুরে সুর মেলান। এও দেখলাম সুরের মোহে অনেকে সাড়া দিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন। কিন্তু বেসুরোদের কী হবে? কতদিন বেসুরে গাইতে পারবে? এ বড় চিন্তার। বড় বিপদ সামনে।
লেখা যদি লেখা হয় তাহলে আপনার মহা বিপদ। এ গন্ধ শুঁকবে, ও গড়গড় করে না পড়তে পারায় ঢোক গিলবে, কেউ চলতে গিয়ে মাঝ রাস্তায় হোঁচট খাবে, কেউ ভুরু কুঁচকাবে, কেউ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে, কেউ আবার নতুন পথের দিশা খুঁজে পেয়ে একটু সঙ্কুচিত হবে।অনেকে আবার পিঠ চাপড়ে দেবে আর সাথে সাথে নরম জায়গাটি খুঁজবে ছুরি মারার জন্য।
হাজার পত্রিকা অন লাইন, অফ লাইন পড়ুন।গুটি কয় বাদে এডিটর, সাব এডিটর, গেস্ট এডিটর সব একই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষামান একটি অঙ্গুলির নির্দেশের জন্য। এদের কেউ বিনোদনকারী, কেউ ধর্ম প্রচারক, কেউ অন্ধ ভক্ত, কেউ অন্তরের আলোর পথপ্রদর্শক।এরপরেও লেখকদের কথা আর বলার দরকার আছে কি? ফ্যানা আর ফ্যানা।এদের শিরদাঁড়া নেই। লেথরে লেথরে চলে।কর্তার ইচ্ছেতে কর্ম সাধিত হয়।অল সিং উইথ দ্যা উইন্ড!
এখন কথা হল যদি বেশিরভাগ লেখকদের বা বুদ্ধিজীবীদের কম বেশি সকলেরই এই দশা হয় তাহলে বাঙালি মুসলমান লেখকের অবস্থাটি ভেবে দেখতে অনুরোধ রাখছি। ঘরে বাইরে যে তাপ ও চাপ তাতে মুসলমান হিসাবে দিন কেমন কাটছে তা আর আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন বাঙালি লেখকের ভূমিকায় মুসলমান কে রাখলে প্রথমে দমফাটা হাসি, একটু পরেই হাউমাউ করে কান্না পাবে।এককথায় উন্মাদের অবস্থা হবে। তবে প্রথম ধাক্কা সামলে নিলে দেখবেন শত শত হতাশার ভাঁজে ভাঁজে আশার বীজ সুপ্ত আছে।ঠিকমত আলো বাতাস পেলে এগুলি একদিন মহীরুহে পরিনত হবে। এ বিশ্বাস ও আশা আমাদের রাখতেই হবে। ডিজিটাল ডিভাইড আছে, আছে হাজার উৎপীড়নের অসহ জ্বালা। কিন্তু অন্যদিক থেকে দেখলে এটা পরিষ্কার যে আমরা দু একটা কথা, সে গল্পাকারে, কবিতাকারে, নাটকে বা উপন্যাসের মাধ্যমে, ইত্যাদি যাইহোক না কেন, তা এই ডিজিটাল বিপ্লবের অবশ্যই সুফল। আজকে প্রথম সারির দৈনিকে আপনার লেখা না বেরুলেও খুব বেশি কিছু আসে যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সকলেই প্রচারে আসতে পারে, নিজের লেখাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পারে। এটি একরকম যুগান্তকারী সম্বল। এখানে খেলা সামনে সামনে। পয়সা, প্রভাব, যোগাযোগ, সংরক্ষণ এক্ষেত্রে অকেজো। কিন্তু এটাও ঠিক বাঙালি মুসলামান লেখক একা। সংখ্যাগুরুর লেখকদের অভিভাবক পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। অর্থে, ক্ষমতায় এরা অনেক বেশি বলবান। তাই প্যালা দেওয়ার লোক জুটে যায় হামেসাই। কিন্তু সংখ্যালঘু লেখকদের ক্ষেত্র প্যালা দেওয়া তো দুরের কথা, প্যালা উপড়ে ফেলার লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই সংখ্যালঘু লেখক বড় মাপের হলেও সে হালে পানি পায় না। এটিই বাস্তব। তারপর বৈরিতা, অহমিকা, নিজেকে হনু ভাবা, নিজেদের মধ্যে খেওয়াখেয়ি তো আছেই।আর আছে কিছু সংখ্যালঘু বিত্তবানের, কিছু প্রতিষ্ঠিতদের অসহনীয় উদাসিনতা, নির্লিপ্ততা, নিষ্প্রভতা।
বাঙালি হিন্দু ভদ্রবিত্তের আনাচে কানাচে আপনার স্থান হলে আপনার কপালে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠেছে ধরে নিতে হবে।লেখক আপনি যত বড়ই হন আপনি কলকাতার বাবুদের পাত্তা পাবেন না। উনাদের চারপুরুষ থেকে ইংল্যান্ড,আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি যাতায়াত।ফলে সাহিত্যের হাত উনাদের অনেক লম্বা। সেখানে সদা আছড়ে পড়ছে নতুন নতুন ভাবনা, চিন্তার ঢেউ।আর তাতে তাঁরা সাঁতার কেটে নিজেকে রিফ্রেশ করছে সকালে বিকেলে। আর আপনাদের লেখা তো মাটি ঘেঁষা।একঘেয়ে। বৈচিত্র্য বা ভাবের বিস্তার কোথায়? গরিব চাষা-ভুষোদের নিয়ে যত সব কারবার! একটু ওপরে উঠুন। চেনা ছকের বাইরে বেরুন। না হলে বিশ্ব সাহিত্যের গভীর রস আস্বাদন করতে পারবেন না।সাহিত্য তো কোন রাজনৈতিক দাবি দাওয়ার ক্ষেত্র নয়।কথাটি ভালো করে বুঝুন। মনের ও ভাবের আদান প্রদান সাহিত্যের মূল বিষয়।সেখানে আপনাদের অবদান কোথায়?আগে পড়াশুনো করে শিল্পবোধ তৈরি করুন। পরে না হয় কোন এক পড়ন্ত বেলায় আপনাদের কথা শোনা যাবে। এখন আসুন।আমাকে প্যারিস যেতে হবে। কাল আর্লি মর্নিং ফ্লাইট।
কত রংয়ের, কত ঢঙের লেখা কত লেখকের। কেউ কল্পনার তুলতুলে চাদরে মুড়ে থাকতে পছন্দ করেন, কেউ লাশ পোঁতা মাঠে বাহারি গোলাপের বাগান করতে বদ্ধপরিকর, কেউ প্রেমময় বার্তার প্রচার করে করে করে গলা শুকিয়ে কাঠ করে ফেললেন, কেউ আবার প্রভুর পথকে মসৃণ করে দাসের জীবনকে আগলে রাখতে হোয়াটসাএ্যাপে সকাল সকাল বিষ ইঞ্জেক্সনের আপডেট দেন হাজার খানেক। কেউ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মাতৃদিবসে ‘মা’-কে নিয়ে মনোঞ্জ আর্টিকেল লেখেন। এদের কারুর কিন্তু গরুকে গরু বলার সাহস নেই। তাই এরা লেখক হিসাবে ভাঙ্গা টিনের কেনেস্ত্রা পিটতে পিটতে হাতের অস্থিতে চিড় ধরান। হলে কি হবে। সাহিত্যের আসরে আলোচকের নিমন্ত্রণ কিন্তু ওনাদের আসতেই থাকে। সময় সময় টিভিতে লাইভ-এর আমন্ত্রণও মেলে। তাই লেখা আর থামে না।পাতার পর পাতা মোলায়েম লেখাতে ভরে চলেছেন। জানিনা আমাজন জঙ্গল আর কদিন টিকবে!
লেখকের কথায় পরে আসছি। পাঠকের কথায় প্রথমে বলি। বাঙালি মুসলমান পাঠকদের কাছে সাহিত্য সেটাই যেটা তার জীবনকে হুবুহু প্রতিফলন না করলেও তাদের আশা, আকাঙ্খা, চাওয়া , পাওয়া বা না পাওয়া, তাদের জীবন অভিঙ্গতা ও নানা ঘাত প্রতিঘাত, তাদের বহুবিধ সমস্যা ও তাদের মনের কথা, তাদের জীবন দর্শন ও সামাজিকতা ও লৌকিকতা, তাদের প্রান্তিক অবস্থান ও সমাজের নানা মাপকাঠিতে সেগুলির সুচিন্তিত পর্যালোচনা, তাদের মৌলিকতা ও নিজস্বতা, সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক নানান চাপের সামনে তাদের অসহায়তা ও সেই অসহায়তা থেকে সাম্ভাব্য উত্তরণের পথ, ইত্যাদি দিক গুলিকে সামনের সারিতে নিয়ে আসে। এখানে সাহিত্যের রস আমাদের খুঁজতে যাওয়া বৃথা। যদি আপনি জানে মানে ধনে প্রানে বাঁচেন তাহলে পরে রস বিশ্লেষণের পথে যেতে পারেন। এককথায় খুব সহজ করে যদি বলি তাহলে সাহিত্য আমাদের বা আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে রসের মধুভান্ড নয়, সাহিত্য ধরা ছুঁয়ার বাইরে বিরাট এক শিল্প কর্মও নয়। সাহিত্য আমাদের বাঁচার হাতিয়ার, আমাদের টিকে থাকার অস্ত্র। সাহিত্য আমাদের বাঁচার সাহস ও অনুপ্রেরণা দেবে। আমাদের মাথা উঁচু রাখতে সাহায্য করবে। ল্যালাফেলা অথচ শ পুরস্কারে শোভিতদের দিয়ে আমাদের খুব বেশি কাজ হবে বলে মনে হয় না।
তবে কি আপনি মুসলমানি সাহিত্যের দিকে ইঙ্গিত বহন করছেন? আজ্ঞে সেরকম একদমই নয়। হিন্দু সাহিত্য, মুসলমানি সাহিত্য, ক্রিশ্চিয়ান সাহিত্য বলে কিছু নেই সেকথাও বলছি না। আনাচে কানাচে চোখ মেললেই এ সবের স্টলও আপনি পাবেন। বলছি যে পশ্চিমবাংলার বাংলা সাহিত্যে পশ্চিমবাংলার মুসলমানদের প্রাসঙ্গিকতা নেই বললেই চলে।
তাই আমার বিনীত অনুরোধ লেখক বন্ধুদের প্রতি আপনারা এগিয়ে আসলে প্রাসঙ্গিকতা আমাদের ফিরে আসবেই। বন্ধুরা অনেকেই চাঁদ, ফুল ,জ্যোৎস্না রাতে দুজনে ছাঁদে বা আরও ঐ রকম উচ্চ নান্দনিকতার স্তরে কিছু আপনারা লিখছেন। আবার অনেকেই মোহ ভেঙ্গে যাওয়ার পর দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে লিখছেন। এও জানি।লিখুন বাঁচার তাগিদে। প্রসঙ্গ হারানোর ভয়ে লিখুন।লিখুন আপনার কথাকে জনগণের সামনে পেশ করতে। ভালো মন্দ কিছু তো একটি প্রতিক্রিয়া হবেই। সেটিই অনেক পাওয়া। হারনোর কিছু নেই, কারন আমরা সর্বহারা। পাওয়ার ঢের বাকি।
আর পাঠক বন্ধুদের প্রতি আবেদন আপনারা বইয়ের তাক পরিষ্কার করুন। ওঁচা মোটা মোটা বই পড়ে জীবনের মুল্যবান সময় আর অপচয় করবেন না। পড়লে সেসবই পড়ুন যেখানে আপনাকে হেওয়া করা হয় নি, যেখানে আপনার কথা সামান্য হলেও ধরা পড়েছে। ক্লাসিক হলেও হতে পারে কিন্তু সেটি আপনার কাছে স্পর্শযোগ্য নাও হতে পারে। যারা ক্লাসিক ক্লাসিক করে লাফাচ্ছেন, নিশ্চয় তাঁরা কিছু খুঁজে পেয়েছেন। আপনি পান নি তাই আপনার সেলফে ওটির স্থান হয় নি। এই সাহস আপনার ভিতর থাকতে হবে। আমি কাকে ক্লাসিক বলব সেটি আমিই ঠিক করব। এই প্রত্যয় মুসলমান পাঠকদের গড়ে তোলা উচিৎ।
লেখার মাধ্যমে আপনি অন্যায়ের প্রতিবাদ নাই করতে পারেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ বা মিথ্যাকে নগ্ন করা আপনার কাজ নাই হতে পারে। আপনি সরলভাবে আপনার জীবন দর্শন ও জীবন অভিঙ্গতা তুলে ধরতেই পারেন। সেটিও একধরনের মহান সাহিত্যসেবা।অনেক লেখক হারিয়ে গেছেন, অনেক লেখক প্রচারের আড়ালে আছেন। এদেরকে সামনের সারিতে নিয়ে আসাও আমাদের ব্রত হওয়া উচিৎ। আর যারা লিখছেন তাদের প্রত্যেকে ভালোবাসা দিয়ে আরও সামনে যাওয়ার উৎসাহ প্রদান করা আমাদের বাধ্যতামূলক কর্তব্য হওয়া উচিৎ বলে মনে করি। আপনারা দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন।তাতে আমি হতাশ হব না।
দুঃখের বিষয় বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে এই উদারতার অভাব বেশ কিছুটা রয়ে গেছে। আমাদের পরশ্রীকাতর হওয়ার প্রশ্নই নেই।সকলে মিলেমিশে যে যে ক্ষেত্রে পারদর্শী তাকে সেই দিকে এগুনোর উৎসাহ, সাহস, ও আশীর্বাদ দেওয়া উচিৎ। তাতে আমাদের সকলেরই মঙ্গল।আবার কেউ কেউ আছেন সংখ্যাগুরুর লেজ ধরা। লেজ ধরুন। আমার তাতে একদমই আপত্তি নাই। দেখেন লাথি না খান। তাই লেজ তাদেরই ধরুন যাদের কাছ থেকে লাথি খাওয়ার সম্ভবনা কম।
আশার কথা বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোকদের মধ্যে অনেকেই বাঙালি মুসলমান সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করেন। এদের মধ্যে বিষ, দ্বেষ একেবারেই নেই। এরা বাংলার সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের কথা ভাবেন। মুসলমানদের নিয়ে অনেক গুণীজন ভালো কাজও করে চলেছেন। এঁদেরকে সাথে আমাদেরকে রাখতেই হবে।আর যারা উদার মনোবৃত্তির তাদের কাছে আমাদের কথা পৌছাতেই হবে। তাহলে এখনি কিছু বাংলা সাহিত্যের পরিমণ্ডলে পরিবর্তন না এলেও ভবিষ্যতে কিছু সুফল আমরা ও আমাদের ছেলেমেয়েরা পাবে নিশ্চয়।তাই হাত গুটিয়ে বসে না থেকে অনলাইন বা অফলাইন পত্র পত্রিকা বা নিউজ পোর্টাল যারা শত বাঁধা অতিক্রম করে চালাচ্ছেন, আসুন তাদের পাশে দাঁড়ায়। পয়সা দিয়ে না পারলে কথা দিয়ে পরামর্শ দিয়ে ওনাদের এই মহতী যাত্রাপথকে সুগম করে তুলি।তাই ভেদাভেদ ভুলে, নিজের গণ্ডির বাইরে এসে ও নিজের অহমিকাকে মাথা তুলতে না দিয়ে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক শূন্যস্থানগুলিকে শনাক্ত করে একে একে পূরণ করার নজির গড়ি।শত প্রতিবন্ধকতা, শত হতাশার অন্ধকার দূর করে আসুন একবার নতুন ভোরের আবির্ভাবের জন্য হাতে হাত মিলিয়ে একই মাঠে মিলিত হই।
***
*লেখাটি সহমত, জুলাই ২০২০ সংখ্যাই প্রকাশিত।
2 Comments
সুন্দর চিন্তা। আমাদের এই বোধ বিকশিত করুক। নৌকার কাজ এগিয়ে চলা। বহু নৌকা সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিও বৃদ্ধি করে।
ধন্যবাদ অশেষ ।