তখন বোধহয় করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে। হরেক রঙের পোস্টারে, ব্যানারে, রকমারি দলের ঝকঝকে পতাকায়, চারিদিক ছয়লাপ। নেতারা হাঁটছেন মাইলের পর মাইল।এই হাত মেলাচ্ছেন শীর্ণ জীর্ণ হাতে, এই চুমু খাচ্ছেন দাদু দিদার হাজার রেখা খচিত শুকনো গালে।নেতাদের হাসি লম্বা থেকে লম্বাতর হচ্ছে, প্রজারা লুটিয়ে পড়ছেন ভুঁয়ে বা এবড়ো খেবড়ো পাথরের নুড়ির গায়ে।সব মালামাল!সবার চোখে আশার আগুনের মুহুর্মুহু ঝিলিক। ভোট এসিছে, ভোট! চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে, হাটে-বাজারে, অফিস আদালতে আলোচনার কেন্দ্র এই সব পাওয়া- নাপাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ভোট।বাতাস গরম। আকাশ মেঘহীন।গাছের পাতা জড়ো জড়ো।
আমাদের অবশ্য কাজ ছিলো খুবই লঘু। মেয়ে দেখা। বিয়ে তো কপালের লেখা।কার হাত কার হাতে কোথায় কবে এক হবে সে তো আমরা বলতে পারি না। তাই মেয়ে দেখা বিয়েতে গড়াবে কি না তাতে আমার উৎসাহ ছিল বিন্দুমাত্র।লোভ অন্য জাগায়। একটি অজানা এলাকা, একটি অচেনা গ্রাম আর তার মানুষজনকে একবেলা নিজের খালি চোখে দেখা।খালি চোখে মানে চশমা এখনো লাগে না তাই বললাম। সুযোগ পেলে দু একটা বাক্যালাপও করা যাবে।তাই উত্তেজনায় কাঁপছি আর অপেক্ষা করছি কখন গাড়ি আসে, কখন গাড়ি আসে।পড়ন্ত বিকেলের মোলায়েম আলো মেখে গ্রাম দেখবো।কি আনন্দ!
আসলে বদ অভ্যাস জন্মেছে জলপাইগুড়িতে, আলিপুরদুয়ারে প্রায় এক দশক একা থেকে থেকে।কাজ নাই তো খই ভাজ। বাউন্ডুলের মতো ঘুরেছি আদিবাসী বা কৃষক অধ্যুষিত জঙ্গলের ধারের গ্রামগুলিতে।চেখেছি সুপারিগাছের সারি সারি বাগানের অপরূপ রুপ।অপলক দৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পান করেছি মাইলের পর মাইল বিস্তৃত চা বাগানের গায়ে রোদের উলঙ্গ স্নান, আর রেনট্রির মাথায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধবল বকের রোদ স্নান।করিমপুরের গ্রামে এসবের প্রসঙ্গ বেমানান। জানি। কিন্তু আমি কি শুধু প্রকৃতি দেখি?না, মানুষের গন্ধও শুঁকি। অসহায়, জীবন সংগ্রামে প্রায় পরাজিত, রোদে পোড়া, বৃষ্টি ভেজা, কোণঠাসা, সহিষ্ণু মানুষ খুঁজি দিকে দিকে। তাই বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে মিনিট সময় নষ্ট করিনি।
ঘটক যেমন হয় ঠিক তেমনটি। বেঁটেখাটো সদাহাস্য, মুখে পান, চোখে মুখে কথা। হাবভাব দেখে মনে হলো অধ্যাপকদের একহাতে কিনবে আর আরেক হাতে বেচবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে অঘটন কিছু ঘটবে না।কারণ পাত্র ঘটকের পাঁচগুণ বাড়া। মেয়ে দেখেছে বিশ ডজন। কেউ বেঁটে, কেউ ভারি, কেউ ময়লা, কেউ ইংরেজিতে কথা বলে, কেউ নগদ দেওয়াতে অপারক, কেউ বন্ধুঘেষা, কেউ বা বেশি আধুনিক, কারো আবার ঘরজামাই-এর আবদার, ইত্যাদি ইত্যাদি।ফলে অভিঞ্জতার কাঁধে ভর করে বেশ হাল্কা অনুভব করলাম। গাড়ি চলছে ঝড়ের বেগে। গ্রামের পর গ্রাম ছুটছে আমাদের সাথে। বেশ ফুরফুরে ভাব সকলেরই ।ঘটকের রাস্তা মাপা। সে অল্প বয়সের গাড়িচালককে ডাইনে বায়ে টেনেটুনে, এ কান ধরে ওকান ছেড়ে নিয়ে যাচ্ছে অভিজ্ঞ গাইডের দক্ষতায় ।সব ঠিক চলছিলো। কিন্তু রাস্তায় লম্বা মিছিল আর পুলিশের অতিরিক্ত ভালোবাসা আমাদের বেশ খানিকটা সময় খেয়ে নেয়। তাই বিকেলের রোদ গায়ে মাখা হলো না। যখন গ্রামে পা দিলাম তখন সূর্য দিগন্তে মুখ ঢেকেছে। সবে আবছা আবাছা অন্ধকার আমাদেরকে গিলতে বসেছে।
একতলা বাড়ি। ছিমছাম। উঠানের মধ্যেখানে ধানের পুরনো মস্ত গোলা পরিবারটির এককালের বনেদি পরিচয় বহন করে।এখন সবাই আলাদা হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে বোধহয়। মেয়ের বাবা আর্মির চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এখন বাড়িতেই আছেন।এক মেয়ে এক ছেলে। ছেলে মেয়ে দুজনেই কলকাতার নামি কলেজে পড়ছে।দুজনেই পড়াশুনোয় উজ্জ্বল। ছেলের কিছু একটা হলে আর মেয়ের বিয়ে দিতে পারলে তারা স্বস্তির শ্বাস নেবে।
মেয়ে দেখতে এসেছি না কাউকে কবর দিতে এসেছি? নিজে নিজেকে প্রশ্ন করলাম। প্লাস্টার খসে পড়া বাড়িটির সাথে মানুষগুলির মনমরা ভাব বেশ মানিয়েছে। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছে জং ধরা টিউবের নিষ্প্রভ আলো। ফ্যান ঘুরছে তো ঘুরেছেই। ফলে তালপাতার সাহায্য নিলাম।মেয়ে অপুরুপ সুন্দরী। যেমন লম্বা, তেমনি গায়ের রঙ। আর তেমনি মুখের গড়ন।মাথা ভর্তি নিকশ কালো চুল। আমাদের সবার পছন্দ।দোষের মধ্যে এক। বেশ ‘হেলদি’। বন্ধু লিকলিকে, রোগা পটকা। আর রঙ আলকাতরাকে হার মানায় ।আমার কথা বাদ দিন। আমার সব মেয়েই পছন্দ। যেখানে গেছি মেয়ে দেখতে সেখানেই বিয়ের পক্ষে মত দিয়েছে। যে নিয়ে গিয়েছে তার সামনে মেয়ের, মেয়ের পরিবারেরে গুণ গেয়েছি কোকিলের সুরে ভরা খরায়।কেউ গলেছেন, কেউ শক্ত থেকেছে্ন। আসলে কী জানি মেয়ের পক্ষেই আমি অজান্তে বরাবরই ঢলে পড়ি। শুধু কী একটি পরিবারের ভার লাঘব না বিবাহযোগ্য মেয়ের পিতামাতার করুণ মুখে হাসি ফুটানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা। নাকি একটি মেয়ে আর ছেলে জীবনের কঠিন রঙ মাখুক আর মিলেজুলে পায়ে পায়ে লম্বা পথ চলুক—এই একান্ত চাওয়া। হবে একটি নিশ্চয়। নাহলে নুন না খেয়েও আমি হেলে পড়বো কেন!
বাড়ির দেওয়াল ফুড়ে হঠাৎ কানে আসে হুঙ্কার ধ্বনি ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’।উন্মত্ত জনতার বাহুবলের ভীতি প্রদর্শনের দৈনিক নমুনার জ্বলন্ত প্রমাণ।ভোট ভিক্ষা করছে না ভয় দেখাচ্ছে?
“এ পাড়ায় শুধু হিন্দুদের বাস সব নাকি?” আমি আলোআঁধারি উঠানে বেরিয়ে এসে মেয়ের বাবার সাথে আলাপ করার অভিপ্রায়ে ঢোক গিলে শুধালাম। ভিতরে তখন আমার বন্ধু মেয়েকে খানদশেক গল্প উপন্যাসের বই উপহার দেওয়াতে ও আনুসঙ্গিক আলাপচারিতায় ব্যস্ত।পাশে বসা বন্ধুর বন্ধু, এখন দু ছেলেমেয়ের বাপ, মন দিয়ে একমনে সব দেখছে আর শুনছে। ভাবছে বোধহয় উনার সেই সোনালি অতীত দিনটির কথা আর মনে খেলে যাচ্ছে ছোট বড় মাঝারি সব সেদিনের ঢেউ।
“হিন্দুদের বাস বেশি, আর মুসলমানদের বাস আমার বাড়ির আশে পাশে নেই। খান সাতেক বাড়ি তারপরে একফালি মাঠ পেরুলে সবাই আমার জাতভাই,” মেয়ের বাবা বললেন নির্লিপ্ত ভাবে।কথার মধ্যে আঠা নেই।ফ্যাঁসফেঁসে ভাব।মনে হলো লোকটির মনে আগুন ধিকধিক করে জ্বলছে। কথা আছে অনেক। প্রকাশের অনিচ্ছা উনাকে গ্রাস করেছে।
“মেয়ের বিয়ে দেবেন। বাড়িঘর ঠিক করেননি?” পরে ভাবলাম একটু বেশি বলে ফেললাম বোধহয়। আমি তো ব্যাঙ্ক থেকে গৃহনির্মাণ লোনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসিনি। উনার বাড়ি মেরামত করবেন কী না করবেন সেটা উনার বিষয়।এই মরেছে! যদি চটে যান। এসব সাতপাঁচ ভাবছি আর সামান্য অনুশোচনা করছি।
“ভাবছি আর এখানে নতুন করে কিছু করবো না, বাবা। দুগাড়ি বালি সিমেন্ট কিনেছিলাম।দোতালাটা কমপ্লিট হয়নি। হেডমিস্ত্রির সাথে কথাও হয়েছিল। কিন্তু ছেলে নিষেধ করছে। আমরা আর কদিন আছি। তোদের জন্যই তো সব। তোরা যদি অন্যরকম প্ল্যান করিস তাহলে পয়সা ফালতু খরচ করবো কেন?” মেয়ের বাবা আমার মুখের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
“তা ঠিক। ওরাই আপনার ভবিষ্যৎ।ওরা বড় হয়েছে। ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছে ওদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ,” আমি সুরে সুর মেলালাম।
“এমনি কেমন আছেন এখানে আপনারা। চারদিকে ঘোষেদের বাস। কোন অসুবিধা?”
মেয়ের বাবা অভিজ্ঞ। হা করলেই বুঝতে পারে কী বলতে চাইছি।
“ছোট থেকেই উনাদের কোলে পিঠেই আমরা চারভাই তিনবোন মানুষ। কোনদিন ঝু্টঝামেলা হয়নি। বুকে আগলে রাখেন আমাদের।খাওয়া দাওয়া উঠাবসা সব একসাথে। বিভেদ বুঝিনি কখনও। এখনও আমরা চলাফেরা করি সেই আগের মতো।”
ভদ্রলোকের কথায় জোর নেই। কিরকম আমতা আমতা করে বললেন সব।আসলে আমরা বাইরের লোক। আধবেলার মেহমান।ঘরের কথা পরের কানে তুলে কী লাভ! হয়তোবা এসব ভেবেই সে অনেককিছু চেপে গেলেন।
মিছিলটি পাড়া পরিক্রমা করে ফিরে যাচ্ছে এবার বোধহয়। ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’-এর যুদ্ধ ধ্বনি আবার আমাদের কানে এল।গেটের দিকে পা বাড়ালাম মিছিলের বহর দেখতে। কিন্তু ভদ্রলোক পিড়াপিড়ি করাতে আমি থেমে গেলাম।
“এসো বাবা, ভেতরে এসো। কী দরকার বাইরে যাওয়া।এই, কে আছিস, বাবাকে কোল্ড ড্রিঙ্কস দে। বসো বাবা বসো। এখানে, সোফায় হেলান দিয়ে আরাম করো।”
নিস্তেজ আলোতে বেশ দেখা যায় মেয়ের বাবার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের ফোঁটা। চোখে উদ্বিগ্নতার চোরা স্রোত। না না, মেয়ের বিয়ে নয়, ছেলের চাকরি নয়। উদ্বিগ্নের ছাপ বাড়ির সকলের চোখেমুখে। তবে কিসের? অজানা আতঙ্কের, ভয়ের। ভয় দাঙ্গার। ভয় বাড়িতে অগ্নিসংযোগের, ভয় ছেলে মেয়ের যদি কোন ক্ষতি হয়, ভয় জীবন হারানোর। প্রত্যক্ষ অভিঞ্জতা না থাকলেও টিভিতে দেখা, খবরে পড়া দাঙ্গার ছবিগুলি চোখের সামনে ঘুরতে থাকে। ভাবতেই গা হাত পা কেমন যেন ঠাণ্ডা হয়ে ওঠে। কাউকে আর বিশ্বাস সে করে না।শুধু হিন্দু বা শুধু মুসলমান মানুষজনের রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মিছিল দেখলে সে এখন আঁতকে ওঠে।তিন পুরুষ এখানে তাদের বাস। কোনদিন ভয় লাগে নি। কখনও নিরাপদের অভাব অনুভূত হয়নি। আজ আর সে নিরাপদ অনুভব করে না। হতে পারে এ ভয়, নিরাপত্তাহীনতা তার মনের তৈরি।হিন্দু প্রতিবেশীরা হয়তোবা বিশেষ পাল্টায় নি।কিন্তু তবুও সে ভয় পায়।
তাই সে সাতেপাচে না গিয়ে চারদেওয়ালের গণ্ডিকে করেছে আপন। লকডাউন তখন ছিলো না। কিন্তু লকডাউনের জীবনে অভ্যস্ত উনি আর উনার পরিবার সেই দু হাজার উনিশের লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকেই।হঠাৎ করে নিজ গ্রাম, আপন পাড়া, চেনা মানুষ অচেনা হলো ।ভদ্রলোক আগে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মোড়ের সনাতনের চায়ের দোকানে গিয়ে বসতো। সুখ দুঃখের গল্প, হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি সব হতো। রাত নটায় বাড়ি ফিরতো। ঝড় বাদলায় না বেরুতে পারলে মন খারাপ করে বাড়িতে চুপ করে বসে থাকতো। আর আজ ঝকঝকে দিনেও সে সনাতনের দোকানের দিকে পা বাড়ায় না।চায়ের দোকান এখন ইয়াং বেকার ছেলেদের আখড়া। ভিতরে মদ জুয়ার আসর বসে দলের মদতে। পুলিশ সবই জানে। কিন্তু গায়ে মাখে না। ‘উপর’ থেকে অনুমতি নেই তাদের। তাই তারা আসে মাঝে মাঝে, ফ্রিতে চা সিগারেট পান খান, আর হাই তুলে থানায় ফেরেন।
প্রায় বছর খানেক থেকে মেয়ের বাবা করেছে নিজেকে গৃহবন্দী। টুকটাক বাড়ির এটা সেটা কাজ করেন। বাজারে গেলে কোথাও বসে না। লিস্ট মিলিয়ে দরকারি জিনিস কিনে বাড়ি ফেরেন। ডানে বায়ে কিছু দেখেন না। দুকানে কিছু শোনে্ন না। প্রথম প্রথম উনি অনেক নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করেছেন দিন রাত। পরে হাঁপিয়ে উঠেছেন । এখন মুখ বুজে সব মেনে, দেখেও না দেখার, শুনেও না শুনার ভান করে, রাস্তার একেবারে বাদিক ঘেঁসে সে নিরাপদে বাঁচার তাগিদে চলা ফেরা করেন।
অন্ধকার ঘনো হয়েছে। আকাশে তারারা টিমটিম করে জ্বলছে।শহরের ধুলোকালিতে তারাদের নিস্প্রভ, ম্লান দেখায়।কিন্তু এই গ্রামেও তারারা জৌলুশহীন!এখানে তো তাদের জ্বলজ্বল করার কথা!
“স্যার, আর দেরি করা ঠিক হবে না।চলুন উঠা যাক, রাস্তাঘাটের যা অবস্থা” ঘটক তাড়া দেয়।
আমারও আর ভালো লাগছিলো না। আসলে ভা্লো লাগার মতো কিছু নেই এখানে। চিন্তাগ্রস্ত করুণমুখগুলি জীবনের স্বাভাবিক ছন্দেতেই আমাদেরকে ঘিরে আছে, আগলে আছে ঠিকই। কিন্তু এসব বাহ্যিক। ভিতরে ভিতরে এ বাড়ির সকলেই উদার আকাশের খোঁজে।হয়তোবা ভাবছে মেয়ের বিয়ের পর বা ছেলের কাজের পরে তাদেরই শহরেরে কাছাকাছি একটি ফ্ল্যাট নিয়ে নিরাপত্তায় নিশ্চিন্তে বাকি জীবন কাটাবেন।কিন্তু ভাবনা আর বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক। হয়তোবা তারা এটা জানেনও।তবুও…
বন্ধুর বইয়ের উপহার পেয়ে মেয়ের মুখ উদ্ভাসিত।আর বাড়ির সকলেই খুশি ছেলের এই উপহারের কথা ভেবে, তার রুচির পরিচয় পেয়ে।ছেলে স্মার্ট, মেয়েও স্মার্ট। বেশ মানাবে দুজনকে!এখন ভালোই ভালো বিয়ের দিনটি ঠিক হলেই…আল্লাই সব…তার উপরেই ভরসা…
যখন বাড়ি থেকে বেরুলাম দেখলাম গেট আগলে দাঁড়ানো উদ্বিগ্ন মুখগুলিতে কী রকম আশার আলোর এক প্রস্থ প্রলেপ লেগেছে…
(*লেখাটি ‘সহজিয়া’ ঈদ সংখ্যা, ২০২০ তে প্রথম প্রকাশিত)